1. abdullahharun2014@gmail.com : dailysarabela24 :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
দৈনিক সারাবেলা ২৪ , সত্য সংবাদ প্রকাশে আপোষহীন visit . www.dailysarabela24.com অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল সংবাদ পড়ুন ও মন্তব্য করুন, আপনার প্রতিষ্ঠানের এড দিন , সংবাদ প্রকাশের জন্য যোগাযোগ করুন - ০১৯৭১-৮৪১৬৪২,০১৩২২-১৭৫০৫২
সংবাদ শিরোনাম:
বসুন্ধরার চেয়ারম্যান পরিবারের ১ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ ৫ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার করেছে কদমতলী থানা পুলিশ প্রাইভেট কারসহ দুই অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ লালবাগে স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক সড়ক পরিবহন আইন লঙ্ঘন ও ফুটপাত দখল করায় সাজা প্রদান সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও উচ্চতর গ্রেড পাবেন এশিয়ায় নবম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ: এডিবি সাজেকে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক টানা পাঁচ রাত কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত-পাকিস্তান গোলাগুলি উৎপাদন খরচও পাচ্ছেন না পেঁয়াজ, আলু ও ডিম উৎপাদকরা এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা

২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তরের ব্যাখ্যায় যা বলছে বিসিবি

  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৭ বার ভিউ

বিশেষ প্রতিবেদন :

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের সঙ্গে পরিবর্তনের হাওয়া লাগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি)। নাজমুল হাসানের পাপনের পদত্যাগের পর সভাপতি হন সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহমেদ। তবে বেশ কিছু কাজে সমালোচিত হন তিনি।

বিপিএল আয়োজনে পেশাদারিত্বের অভাব, টিকিট বিক্রি নিয়ে দর্শকদের ক্ষোভ, জাতীয় দলের বাজে পারফরম্যান্সে বেশ চাপে রয়েছেন ফারুক। এরই মাঝে দৈনিক ইত্তেফাকের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট থেকে ১২০ কোটি টাকা সরিয়েছেন ফারুক। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে দেশের ক্রিকেটাঙ্গন।

বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনা না করেই এই টাকা সরিয়ে নিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। তবে এইসব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বিসিবি বলেছে, ‘জাতীয় গণমাধ্যমের একটি অংশে বোর্ডের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নজরে এসেছে। বিসিবির মতে এসব প্রতিবেদন ভুল তথ্যভিত্তিক এবং বোর্ড ও এর সভাপতি জনাব ফারুক আহমেদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে।’

বিবৃতিতে এফডিআরের টাকা স্থানান্তরের ব্যাখ্যাও দিয়েছে বোর্ড। বিসিবি বলেছে, ‘গত ২০২৪ সালের আগস্টে বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর জনাব ফারুক আহমেদ বিগত বছরগুলোর আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের গণআন্দোলনের পর দেশের অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে বোর্ডের আর্থিক স্বার্থ সংরক্ষণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করেন।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে বিসিবি তার ব্যাংকিং সম্পর্কগুলোর পুনর্মূল্যায়ন করে এবং কৌশলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেয় যে শুধুমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত ‘গ্রীন’ ও ‘ইয়েলো’ জোনভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথেই বোর্ড আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকবে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিসিবি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংকগুলো থেকে ২৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে এবং এর মধ্যে ২৩৮ কোটি টাকা গ্রীন ও ইয়েলো জোনভুক্ত ব্যাংকগুলোতে পুনঃবিনিয়োগ করে। অবশিষ্ট ১২ কোটি টাকা বিসিবির বিবিধ পরিচালনা ব্যয় নির্বাহের জন্য নির্ধারিত একাউন্টে স্থানান্তর করা হয়।’

বিসিবি জানায়, ‘প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বোর্ড সভাপতি কোন একক সিদ্ধান্তবলে বোর্ড এর পরিচালনা পর্ষদের অজ্ঞাতে ব্যাঙ্ক পরিবর্তনের অথবা লেনদেন সংক্রান্ত নির্দেশ প্রদান করেন না। পার্টনার ব্যাংকগুলোর সাথে বিসিবির আর্থিক বিষয়ক লেনদেনে স্বাক্ষরপ্রদানকারী হিসাবে দুজন বোর্ড পরিচালক আছেন বোর্ডের ফিনান্স কমিটি চেয়ারম্যান জনাব ফাহিম সিনহা ও টেন্ডার ও পারচেজ কমিটি চেয়ারম্যান জনাব মাহবুবুল আনাম। বিসিবি সভাপতি এসংক্রান্ত বিষয়ে স্বাক্ষরদাতা নন।’

‘বিসিবি অবগত যে, কিছু সুবিধাভোগী মহল এবং ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী, যারা ক্রিকেট প্রশাসনের ভিতরেও সক্রিয়, বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বিসিবির আর্থিক নিরাপত্তা আরও জোরদার করার এটিও অন্যতম কারণ। সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে এখন পর্যন্ত বিসিবি তার অর্থ ও স্থায়ী আমানত সংরক্ষণের দায়িত্ব ১৩টি নির্ভরযোগ্য ব্যাংকের হাতে দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বিসিবির আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহ প্রতিযোগিতামূলক মুনাফা প্রাপ্তির মাধ্যমে আয় বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করেছে। এর ফলে পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় বিসিবির স্থায়ী আমানত থেকে ২-৫ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত মুনাফা হয়েছে।’

‘গত ছয় মাসে বিসিবি তার বর্তমান তিনটি ব্যাংকিং অংশীদারের কাছ থেকে আনুমানিক ১২ কোটি টাকার স্পনসরশিপ পেয়েছে। এছাড়াও, অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বিসিবির অংশীদার ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা বিনিয়োগের আশ্বাস পাওয়া গেছে, যা এই আর্থিক সম্পর্কগুলোর দৃঢ়তা ও গভীরতা নির্দেশ করে।’

‘বিসিবি সর্বোচ্চ মানের আর্থিক ব্যবস্থা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং প্রকৃত ও তথ্যভিত্তিক উৎস থেকে তদন্ত ও পর্যালোচনাকে স্বাগত জানায়। পাশাপাশি, বোর্ড গণমাধ্যমকে ভিত্তিহীন অথবা বাংলাদেশ ক্রিকেট ও এর সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে, এমন কোনো ভূল তথ্যসম্মলিত প্রতিবেদন প্রকাশ থেকে বিরত থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছে।’

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ©2024 ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ThemeNeed.com