বিশেষ প্রতিবেদন :
শুক্রবার (০৯ মে) রাত ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেইট) সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উভয় লেন অবরোধ করেন তারা৷
এর আগে, রাত পৌনে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে শেষ হয়৷
মিছিলে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ কর, করতে হবে-করতে হবে; জুলাই হত্যার বিচার কর, করতে হবে-করতে হবে; অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন; আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে-ডাইরেক্ট অ্যাকশন; লেগেছেরে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে; আওয়ামীলীগের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে; যুবলীগের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে; ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালো একসাথে; রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়; আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয় নি যুদ্ধ; দালালী না রাজপথ, রাজপথ-রাজপথ স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা৷
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাদিয়া রহমান অন্বেষা বলেন, ‘যে সরকার জুলাই গনঅভ্যুত্থানের উপর দাঁড়িয়ে আছে, সে সরকার আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের বিষয়ে তালবাহানা করছে৷ বাংলাদেশের মানুষ ৫ আগস্ট তাদের রক্ত দিয়েই ঘোষণা দিয়েছে, এই দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আর চায় না৷ আওয়ামী লীগের মিছিল মানে বিপ্লবীদের মৃত্যু ঘনিয়ে আসবে৷ সরকার যদি ব্যার্থ হয় তবে আমরা কোনো আইনের তোয়াক্কা না করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজপথে নামবো৷’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আর কোনো কথার ফুল ঝুড়ি নয়৷ আমরা বার বার রাস্তায় এসে এই যৌক্তিক দাবি আদায় করতে চাই না৷ আমরা চাই এই সরকার এই যৌক্তিক দাবি উপলব্ধ করুক৷ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের যৌক্তিক বিষয়ে আর কোন প্রহসন আমরা চাই না। এ দেশে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার জন্য রিফাইন্ড আওয়ামীলীগকে সামনে আনা হচ্ছে। যে আওয়ামী লীগ আমার ভাইদের নির্বিচারে খুন করেছে, শিশুদের হত্যা করেছে, আমাদের বোনদের নির্দয়ভাবে রক্তাক্ত করেছে সেই আওয়ামী লীগ আর রাজনীতি করতে পারবে না, তাদের ঠাঁই এই বাংলায় হবে না৷’
বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ২ হাজার ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছিল এবং বিশ হাজার আহত হয়েছিল৷ আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের জন্য প্রয়োজনে আমরা ছাত্র-জনতা আবারো জীবন দিবো, তবুও এই বাংলার মাটিতে আ.লীগকে রাজনীতি করার কোনো অধিকার দিবো না৷’
বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জল বলেন, ‘আওয়ামীলীগ ফিরবে তবে রাজনীতিতে নয়, আসামি হয়ে বিচারের কাঠগড়ায় ফিরবে৷ ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আমরা কারো রক্ত চক্ষু পরোয়া করবো না৷ এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে না পারে তবে আমরা এই সরকারকে টেনে হিঁচড়ে নামাবো৷ আপনারা জুলাইয়ের যে ম্যান্ডেট নিয়ে সরকার পরিচালনা করছেন, আপনারা যদি জুলাই অভ্যুত্থানের পরেও আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করতে না পারেন তবে দায়িত্ব ছেড়ে দেন৷’
Leave a Reply